ব্রেকিং:
কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৩  

কুমিল্লার আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় তৈরী প্লাস্টিক, সিলভার আর স্টিলের পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প । ভালো নেই শিল্পীরা। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়ায় পুঁজি নেই এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের হাতে। অনেক কষ্টে বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন হাতেগোনা কয়েকজন পরিবার ।
জানা গেছে, এক সময় বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের হস্ত শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করতেন, হিমশিম খেতেন ক্রেতার চাহিদা মেটাতে। হাটবাজারে বিভিন্ন পন্যের পসরা সাজিয়ে বসতেন তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও শিশুদের খেলনা, গৃহসয্যার শৌখিন পণ্যসহ বাহারি পণ্য থাকত যেমন খাড়ি,টুকরি,কুলা ডুলা,চালৌইন,কাপাইড় (গরুর মুখে লাগানো) শীতল পাঠি, এসব পণ্যে থাকত দৃষ্টিনন্দন আলপনার ছোঁয়াও। কিন্তু আজ এসবই হারিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। তবে সময়ের পরিক্রমায় বাঁশ ও বেত শিল্পীরা অস্তিত্ব সংকটে পড়লেও বিভিন্ন উপজেলার কয়েকশত পরিবার এখনও এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এমনি কয়েকটি পরিবারের দেখা মিলল উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়ন দীর্ঘভুমি গ্রামে। হস্তশিল্পী মৃত শ্রীরামচন্দ্রের নম ছেলে লক্ষণ চন্দ্র নম রাধাকান্ত নম মানিকচন্দ্র নম দিলীপ চন্দ্র নম জানান,আমাদের উপজেলায় প্রায় তিনশ পরিবার ছিল বর্তমানে পুরো উপজেলায় ২০ থেকে ২৫ টি পরিবার রয়েছে।আমাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের কারুর এ পেশা শিখায়নি, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এই পেশায় লাভবান নই।এছাড়াও লক্ষণ চন্দ্র বলেন আরো আমি প্রায় ৭০ বছর ধরে এ পেশায় কাজ করছি, আমাদের সাথে অন্যান্যরা এ পেশার ত্যাগ করে বর্তমানে ভারত চলে গেছেন। বর্তমানে আমরা পুরো উপজেলায় ২০ থেকে ২৫ টি পরিবার রয়েছে। শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য বাপ-দাদার পুরনো ব্যবসা নামমাত্র ধরে রেখেছি। আগে আশপাশের বিভিন্ন বাজার থেকে বাঁশ ও বেত পাওয়া যেত এখন এগুলোতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সচরাচর মালামাল পাওয়া যায়না। আমরা আগে নানা ধরনের পণ্য তৈরি করতাম।ভালো লাভও হতো। পাশাপাশি এ সব পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায় লোকশানের বোঝা দিগুণ হয়েছে। বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য হস্তশিল্প হারাতে বসার পেছনের গল্প জানান রাধাকান্ত নম। তিনি জানান, এই উপজেলায় কোনোএক সময় চারশো'রও বেশি পরিবার ছিল হস্তশিল্পের কাজে নিয়োজিত। সময়ের পরিক্রমা ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেকেই এ পেশা থেকে ভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনও এ পেশায় জড়িয়ে আছেন বিশ থেকে পশ্চিশ পরিবার। অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবারগুলো।