ব্রেকিং:
কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে তুলকালাম

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩  

চিকিৎসা অবহেলায় এক প্রসূতির সন্তান প্রসব করানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত দুই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বিকেলে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের নওয়াব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডের অপারেশন থিয়েটারে এক প্রসূতির সন্তান প্রসব করানোকে কেন্দ্র করে রোগীর উত্তেজিত স্বজনেরা চিকিৎসকদের অন্তত তিন ঘন্টা হাসপাতাল থেকে বের হতে দেননি। পরে পুলিশ এসে ওই দুই নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করেন। প্রসূতি সায়মা সুলতানা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাকিবুর রহমান নামে এক বেসরকারি চাকুরিজীবীর স্ত্রী।
রোগীর স্বজনদের দাবি, দায়িত্বরত চিকিৎসককে বার বার অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে ডেলিভারির কথা বলা হলেও চিকিৎসক দেরীতে ওই রোগীকে ডেলিভারির জন্য নিয়ে যায়। যে কারণে জটিলতা তৈরী হওয়ায় আঘাতপ্রাপ্ত শিশু ভূমিষ্ট হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার টাওয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
রোগীর বোন সালমা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সকাল দশটা থেকে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছি প্রসূতির অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে প্রসব করানোর জন্য। কিন্তু চিকিৎসকরা বারবার নরমাল ডেলিভারির কথা বলে সময় ক্ষেপন করেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সদর হাসপাতালের নওয়াব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডে গিয়ে খোঁজ খবর নেন সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ ও অন্যান্য চিকিৎসকরা এসে অবরুদ্ধ দুই চিকিৎসককে উদ্ধার করেন।
সিভিল সার্জন জানান, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তুলে ধরা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃতির ডেলিভারি তারিখ ছিলো ২৮ সেপ্টেম্বর। উনি আমাদের কাছে এসেছেন ১ অক্টোবর তারিখে। তখন আমরা উনাকে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। তখন তিনি কাগজে লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন যে আমরা নরমাল ডেলিভারি করব। আজ ৮ তারিখ সকালে তারা হাসপাতালে আসার পর চটিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেই - পরে তাকে নরমাল ডেলিভারির জন্য নেয়া হলে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটি এখন কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব,  সে কমিটি ঘটনার মূল কারণ খুঁজে বের করবে।
ঘটনার খবর শুনে সদর হাসপাতালে যান কোতোয়ালি থানা অফিসার ইনচার্জ সনজুর মোর্শেদ। ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে তিনি জানান, চিকিৎসকদেরকে বাসায় পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।