ব্রেকিং:
কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্কুলশিক্ষকের ছেলের বউ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২২  

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিজের ১০ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। শিক্ষিকার এমন কর্মকান্ডে হতবাক হয়েছে সুশীল সমাজ। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার দিনমুজুর অসোক আলীর মেয়ে শারমীন খাতুন (১১) পার্শবর্তী বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী। তার রোল নং-৩৮। গত ২০/০৩/২০২২ ইং তারিখে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুনাহার তারই ছেলে স্থানীয় বেগমপুর যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণী পড়ুয়া আব্দুর রহমানের সাথে বিয়ে দেয়। প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি জানাজানি না হলেও ঘটা করে বর বধু শশুর বাড়ী ছোটশলুয়া গ্রামে দশ বদ্দন করতে আসলে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষিকা কর্তৃক নিজের অপ্রাপ্ত ছেলের সাথে নিজ বিদ্যালয়ের অপ্রাপ্ত বয়সের ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি। যা নিয়ে সচেতন মহলে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

খবর পেয়ে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বেগমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে হাতে মেহেদী রং নিয়ে ৫ম শ্রেণীতে ক্লাস করতে দেখা যায় বাল্য বিবাহের স্বীকার স্কুলছাত্রী শারমিন খাতুনকে। বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে অপকটে স্বীকার করে বলে, গত এক সপ্তাহে আগে ম্যাডামের ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে সে দশবদ্দনে বাড়ীতে এসে স্কুলে ক্লাস করছে। একই ক্লাসে শ্রেণি শিক্ষক হিসাবে তখন ক্লাস নিচ্ছিল অভিযুক্ত শিক্ষিকা শামসুনাহার। তার কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে স্কুল ছাত্রীর সাথে নিজের ছেলের বাল্য বিবাহ দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নিজ বাড়ীর অবস্থা খুব ভাল না।

ছবি: প্রতিনিধি

বিশেষ করে তার মায়ের খুব শরীর খারাপ। মায়ের ইচ্ছায় নাতি ছেলের বউ দেখার। মুলত মায়ের ইচ্ছা পূরন করা জন্যই তিনি নিজের ছেলের সাথে তারই স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে দিয়েছেন। তবে বিয়ে রেজিষ্ট্র করা হয়নি। বেগমপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও বেগমপুর ইউনিয়নের কাজি মফিজুল ইসলাম ধর্মীয়রীতি মেনে বিয়ে দিয়েছেন। এবিষযে বেগমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিয়ের বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়ে বলেন, একজন স্কুল শিক্ষিকার এধরনের অপরাধ কাম্য নয়।

ছবি: প্রতিনিধি

বিয়ে পড়নো কাজি মফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এধরনের কোন বিয়ে তিনি পড়াননি। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষিকা কর্তৃক নিজের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, বেগমপুর ইউনিয়নকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বদ্ধপরিকর। একজন স্কুল শিক্ষিকা কিভাবে এই ধরনের কাজ করতে পারে আমার বুঝে আসে না। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে। আর এই বিষয়টি আমাদের দেখার দায়িত্ব না।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। এদিকে একজন সচেতন শিক্ষিকা কিভাবে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে নিজ স্কুলের নাবালিকা মেয়ের বাল্য বিবাহ দেয় তা নিয়ে ইউনিয়ন জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকার সচেতন মহল, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।