ব্রেকিং:
ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম! বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড় ৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
  • বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

১৯১৫ কোটি টাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে নবাবগঞ্জে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩  

উন্নয়ন নীতির একটি অংশ হিসেবে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জে স্থাপন করা হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় ১ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। গত ৯ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকীর সভাপতিত্বে কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় ‘নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৮৭৪ একর এলাকা নিয়ে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল গেড়ে তোলা হবে। থাকবে একটি সংযোগ সড়ক। সড়কটি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় ১২ দশমিক ৫১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় মোট ১ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের (অর্থ বিভাগ) কাছ থেকে ঋণের মাধ্যমে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীনভাবে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে বলে জানায় পরিকল্পনা কমিশন।

বেজার উপ-সচিব মো. নাজমুল আলম বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটার হাউজ কোপার্সের মাধ্যমে একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছে। সেই আলোকে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণসহ কতিপয় অফসাইট ও অনসাইট অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তাব করে প্রকল্প প্রস্তাবটি (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। দুই শতাংশ সুদে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বিভাগের সম্মতি মিলেছে।

বেজা জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। ‘নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে মোট ১ হাজার ৯১৫ কোটি টাকায় বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকা রাজধানীর খুব কাছে, তাই এটি একটি লাভজনক প্রকল্প হবে।

তবে পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে পরিবেশ অধিদফতর ও বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নিতে হবে। প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন প্রক্রিয়ার আগে সমীক্ষা জরুরি।

আইএমইডি বলছে, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা না হওয়ার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে অসুবিধা হয় এবং প্রকল্প ব্যয় ও বাস্তবায়ন মেয়াদ বাড়ে। তাই বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

প্রকল্প অনুমোদনের পরে সার্বিক সমীক্ষা হবে। ভৌত কাজের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগ থেকে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে হালনাগাদ করা অনুমোদিত রেট শিডিউল অনুযায়ী। প্রকল্পের আওতায় চার লেনের সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে সংযোগ সড়কের সংস্থান রাখা হলেও তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে বাস্তবায়ন করা হবে- জানায় বেজা।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগ জানায়, যদি থোক খাতে অর্থ থাকে কেবল সেক্ষেত্রে প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ থাকতে পারে। অন্যথায় আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/স্ট্যাডি ট্যুর, পরামর্শক সেবা ও সেমিনার/কনফারেন্সের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বেজা জানায়, বেজা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কাজ করে। তাই সেমিনার-কনফারেন্স খাতে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। অপরদিকে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং নিয়মিত উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা অর্জন প্রয়োজন। এ বিবেচনায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ/স্ট্যাডি ট্যুর খাতে কিছু বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব ব্যয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে করা হবে।