ব্রেকিং:
কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট! ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম! বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড় ৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্কুলের দেয়ালে দেয়ালে ফাটল ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩  

দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ৭৪নং ছেপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়ালে দেয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। পাঠদানে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেই ভবনে নিয়মিত ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত বেঞ্চের অভাবে শ্রেণিকক্ষে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে দেখা গেছে। এতে পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৭১ সালে ৩৩শতক জমির ওপর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ১০জন। ৩০৮জন শিক্ষার্থীর জন্য ৮টি শ্রেণিকক্ষে ৪০ জোড়া বেঞ্চ আছে। প্রতিটি বেঞ্চে দুই জন করে বসা যায়। প্রয়োজনের তুলনায় বেঞ্চ কম হওয়ায় এখন একেকটি বেঞ্চে ছয়জন ঠাসাঠাসি করে বসছে। তারপরও অনেকে বেঞ্চে বসার সুযোগই না পেয়ে দাঁড়িয়েই ক্লাস করছে। বিদ্যালয়ে দুটি একতলা ভবন রয়েছে, এর একটির এক অংশে লাইব্ররী ও অফিসকক্ষ, অন্যপাশে দুটি শ্রেনীকক্ষ। অন্য ভবনটির ৪টি কক্ষই অধিকতর পুরোনো ও জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা ও বের হয়ে গেছে ভীমের মরিচায় ধরা রড, ভবনেরও পিলারে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। বৃষ্টি হলেই ভবনের দেয়াল চুইয়ে পানিপড়ে একাকার হয়ে যায় শ্রেণীকক্ষ। বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে বহু আগেই।   
বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ফাহিমা, ৫ম শ্রেণীর সাকিব ও ৪র্থ শ্রেণীর সজিব জানায়, কয়েকবার আমাদের মাথার ওপর ছাদের পলেস্তরা ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলে আমাদের ক্লাসে পানি জমে যায়। বেঞ্চের সংকট হওয়ায় আমাদের সহপাঠিরা দাঁড়িয়ে ক্লাস করছে। আমরা এ স্কুলে নতুন একটি ভবন চাই।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক বাসন্তী রানী ধর জানান, ভবন পুন:নির্মাণের জন্য লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শ্রেণীকক্ষে বেঞ্চের চেয়ে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় এক বেঞ্চে ৫/৬জন গাদাগাদি করে বসতে হয়। বেঞ্চে বসে লেখাপড়া কষ্টকর হয়।  
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন, কোন স্কুলের অবকাঠোমো ঝুঁকিপূর্ণ হলে উপজেলার কমিটির মাধ্যমে পস্তাব দেওয়া হয়। আমি রবিবার ছুটি আছি, আপনি স্কুলের নামটা আমাকে ম্যাসেজ করে রাখেন আমি আগামী সোমবারে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেব।